তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানে সমান অধিকার ও সুযোগ দিয়ে নারীদের সামাজিক অবস্থানকে উন্নত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে অবদান রাখছে ‘আইসিটি’ । ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’গড়ে তোলার মহৎ উদ্যোগ পরির্পূণভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে যদি ‘আইসিটি’ র ক্ষমতা ও দক্ষতার সাহায্যে নারীর ক্ষমতায়ন উদ্যোগকে গুণগত ভাবে এবং পরিমাপযোগ্য ভাবে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া যায়।
বাংলাদেশের গ্রামের অসহায়, দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত কিংবা কম সুবিধাপ্রাপ্ত নারীর তথ্যে প্রবেশাধিকার এবং তাদেরকে তথ্য প্রযুক্তির সেবা প্রদান নি:সন্দেহে নারীর ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করবে। এ লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক “তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন” শীর্ষক প্রকল্পটি গৃহীত হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক উক্ত প্রকল্পটি ১ম পর্যায়ে ১৩টি উপজেলায় সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ৪৯০টি উপজেলায় তৃণমূল নারীদের নিকট পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ০৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদী (এপ্রিল ২০১৭ থেকে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত) “তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)” গৃহীত হয়েছে।
মূল উদ্দেশ্য:
গ্রামীণ সুবিধা বঞ্চিত মহিলাদের তথ্য প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার এবং তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন।
যশোর সদর উপজেলার সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য:
১. যশোর সদর উপজেলার তথ্য কেন্দ্র নিয়মিত সচল রাখা;
২. তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রতি মাসে ৯৫০ জন গ্রামীণ মহিলাদের উদ্বুদ্ধ করণ এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানে সাহায্য করা;
৩. তথ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে ই-কমার্স সহায়তা প্রদান ;
৪. ই-লার্নিং এর মাধ্যমে প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন দল গঠন করা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস